গ্রামীণফোন কর্পোরেট সিম – কি, কিভাবে নিবেন?

অন্যান্য সিম কোম্পানিগুলোর মত গ্রামীণফোনও তাদের গ্রাহকদের কর্পোরেট  সিম সেবা প্রদান করে থাকে। কর্পোরেট সিমের সুযোগ সুবিধা অন্যান্য সাধারণ সিমের তুলনায় বেশি থাকায় গ্রাহকদের  কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়।

গ্রামীণফোন কর্পোরেট সিম কি? গ্রামীণফোন প্রদত্ত কর্পোরেট সিম হল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ সুবিধা যুক্ত সিম যা কর্পোরেট খাতে ব্যবহার করা হয়। এই সিম সাধারণ কোন সিমের মতো নয়। এ ধরনের সিম গ্রাহকদের বিশেষ কিছু অফার ও সুবিধা প্রদান করে থাকে। গ্রামীণফোন  কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান কে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা সহ কর্পোরেট সিম প্রদান করে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে  থাকে। এটি ব্যক্তিগতভাবে ব্যাবহার করা যায় না।

নিচে গ্রামীণফোনের কর্পোরেট সিম গুলো কিভাবে আমরা পেতে পারি এবং এগুলোর সুযোগ-সুবিধা এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

গ্রামীণফোন কর্পোরেট সিম কিভাবে নিবেন?

দেশের সর্বোচ্চ গ্রাহক নিয়ে এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্ক নিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্ভিস সেবা প্রদান করে  গ্রামীণফোন সিম কোম্পানি। কর্পোরেট সিম পাওয়ার জন্য অনলাইনে ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে অথবা সরাসরি কাস্টমার কেয়ার গিয়ে আবেদন করতে হবে। তারা আপনার সকল তথ্য যাচাই করে, আপনাকে সিম প্রদান করবে।

অনলাইনে গ্রামীণফোন  কর্পোরেট সিম পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া

  1. প্রথমে মোবাইল বা কম্পিউটার হতে গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কর্পোরেট সিমের জন্য আবেদন করতে হবে।
  2. আবেদন করার পর কাস্টমার কেয়ার থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
  3. তাদের সর্ত সাপেক্ষে আপনি যদি সিমটি নেওয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য হন, তাহলে আপনার থেকে তারা ডকুমেন্ট নিবে।
  4. তার ডকুমেন্টগুলো যাচাই করে, যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে,
  5. তারা আপনাকে কর্পোরেট সিম প্রদান করবে। 

কর্পোরেট সিম ব্যাবহারের সুবিধাসমূহ

যেহেতু কর্পোরেট সিমের থেকে সাধারণ সিম কে, সিম প্রোভাইডাররা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছে। সুতরাং এটা ব্যবহারের বিশেষ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা অবশ্যই রয়েছে। যেহেতু সিমটা কর্পোরেট কাজের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হবে এবং তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা। সুতরাং শুধুমাত্র কর্পোরেট ফিল্ডের লোকজনই এই সিম ব্যবহারের বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। কর্পোরেট সিম ব্যবহারের সুবিধাগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো।

  • সল্প মূল্যে SMS প্রদান করা যায়।
  • সাশ্রয়ী মূলে কথা বলা যায়।
  • মিনিট ও টকটাইম বান্ডেলের অফার পাওয়া যায়।
  • একই সাথে অনেকগুলো সংযোগ পাওয়া যায়।
  • পচ্ছন্দমতো ইন্টারনেট ও ভয়েস পেকেজ পাওয়া যায়।
  • বিজনেস কাস্টমার সার্ভিস
  • ই-বিল প্রদান সুবিধা
  • প্রতিষ্ঠানের পরিধি অনুসারে সীমাবদ্ধতা নিশ্চত করা যায়
  • পুরো মাসের বিল, মাসের শেষে প্রদান এর সুযোগ থাকে।

কর্পোরেট সিম ব্যাবহারের অসুবিধাসমূহ

এই সিম ব্যাবহারে তেমন কোন অসুবিধা লক্ষ্য করা যায় না। ব্যক্তিগত ভাবে এটি ব্যবহার করা যায় না।কর্পোট সিম শুধুমাত্র কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানই ব্যবহার করতে পারবে। পার্সোনালি এটি ব্যবহার করতে চাইলেও তা কখনোই সম্ভব না।কর্পোরেট সিম ব্যবহারে  প্রধানত এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হয়। 

কর্পোরেট সিম ও সাধারণ সিমের মধ্যে পার্থক্য

কর্পোরেট সিম শুধুমাত্র বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানই ব্যাবহার করতে পারে। অন্যদিকে সাধারণ সিম যে কেউই ব্যাবহার করতে পারে। কর্পোরেট সিমে মিনিট, ভয়েস ও ইন্টারনেট প্যাকেজ এর মূল্য সাধারণ সিমের থেকে কম পাওয়া যায়। কর্পোরেট সিমে সাধারণ সিমের চেয়ে অফার বেশি পাওয়া যায়। কর্পোরেট সিমে একইসাথে অনেকগুলো সংযোগ দেওয়া গেলেও সাধারণ সিমে তা সম্ভব না।

শেষ কথা

অতএব,  আমরা বলতেই পারি যে কর্পোরেট সিম গুলো আমাদের অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে আমাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক কাজের ক্ষেত্রে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক কাজে লাভবান হওয়ার জন্য গ্রামীণফোন কর্পোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যাবশ্যকীয় একটি সিম। এই সিমের গুরুত্ব এত বেশি হওয়ার কারণেই এগুলো এত জনপ্রিয় হয়েছে। 

Leave a Comment