গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড সিম কি? কিভাবে নিবেন?

আমরা সাধারণত যে সিম গুলো ব্যবহার করে থাকি গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড সিম গুলো তার থেকে সম্পূর্ণই  আলাদা একটি সিম। যারা ফ্লেক্সিলোড  এর ব্যবসা করাতে ইচ্ছুক তাদেরকে এই সিম প্রদান করা হয়ে থাকে। ফ্লেক্সিলোড সিম থেকে অন্যান্য সাধারণ সিমে ফ্লেক্সিলোড করা হয়ে থাকে।

গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড সিম কি? অন্যান্য সকল সিমের মতই গ্রামীণফোন তাদের কাস্টমারদের, ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসার জন্য যে সিম প্রদান করে থাকে সেগুলোই গ্রামীনফোনে ফ্লেক্সিলোড সিম।

নিচে আমরা  কিভাবে গ্রামীনফোনের ফ্লেক্সিলোড সিম পাওয়া যায়, এবং এগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং এগুলোর ব্যবহারে সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

গ্রামীণফোনের ফ্লেক্সিলোড সিম কিভাবে নিবেন? 

গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড সিম কিনার জন্য আপনাকে প্রথমে গ্রামীণফোনের অথরাইজ ডিলারের কাছে অথবা রিটেলার অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে আপনার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য তারা জানতে চাইবে। তারা আপনার সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে আপনাকে সিম প্রদান করবে। বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে আপনি  ১২১ কাস্টমার সার্ভিস নাম্বারে ফোন করে সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন।

গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড সিম পাওয়ার ধাপগুলো নিচে দেয়া হলঃ

  1. প্রথমে আপনাকে পার্শ্ববর্তী ডিলার বা রিটেলার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
  2. সেখানে আপনার প্রয়োজনীয়  কাগজপতি যেমন ট্রেড লাইসেন্স, আপনার ছবি এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  3. এসব কাগজ পাতি গুলো মূল্যায়ন করে তারা আপনাকে একটি ফ্লেক্সিলোড সিম প্রদান করবে।
  4. রিটেইলার এর কাস্টমার হেল্পার রা আপনাকে, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আপনাকে  আপনার চাহিদা অনুযায়ী ব্যালেন্স প্রদান করবে।

ফেক্সিলোড  সিম ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ 

আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আরো উন্নতি করতে চাইলে আপনি ফ্লেক্সিলোড এর ব্যবসা করতে পারেন। কারণ ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করা খুবই সহজ এবং সহজলভ্য। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আপনি গ্রামীণফোনের ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করে খুব সহজেই লাভবান হতে পারেন। কারণ বাংলাদেশের অন্যান্য সিম কোম্পানিগুলোর থেকে গ্রামীণফোনের গ্রাহক অনেক বেশি হওয়ায় আপনি খুব সহজেই ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা থেকে লাভবান হতে পারবেন।

নিচে গ্রামীণফোনে ফ্লেক্সিলোড সিম এর ব্যবহারের সুবিধা গুলো দেওয়া হলঃ

  • কোম্পানি থেকে কমিশন পাওয়া যায় 
  • বিভিন্ন প্যাকেজ থেকে কমিশন পাওয়া যায় 
  • ফ্লেক্সিলোড করা খুবই সহজ জন্য সময় কম লাগে 
  • বেশি পরিশ্রম করতে হয় না 
  • দোকানে বা মার্কেটে বসে কাজ করা যায় 
  • বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না 
  • অল্প টাকা বিনিয়োগে বেশি লাভবান হওয়া যায়
  • ফ্লেক্সিলোড প্রক্রিয়া খুব সহজ হওয়ার কারণে যেকোনো বয়সের মানুষই এটি ব্যবহার করতে পারে।

গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড সিম ব্যবহারের অসুবিধা সমূহঃ 

যেহেতু গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড সিম অন্যান্য সাধারণ সিম থেকে ব্যতিক্রম, যেহেতু এটি ব্যবহার সাধারণ সিমের মতো করা যাবে না। এই সিম ব্যবহার করে শুধুমাত্র ফ্লেক্সিলোড করা যাবে এবং পাওয়ার লোড করা যাবে। ব্যালেন্স নেওয়ার জন্য কাস্টমার হেল্পারদের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। কোন কারণে তারা না আসলে, কাজ বন্ধ করে রাখতে হয়। এরকম সাধারন কিছু সমস্যা ছাড়া কোন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দেখা যায় না।

যেহেতু এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যুগ এবং মানুষ বিকাশ, নগদ, রকেট এই ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করেই নিজেদের মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড করে থাকে সেজন্য ফ্লেক্সিলোড সিমের কদর অনেকটাই কমে গেছে। আপনি যদি গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড সিম এখন নিতে চান তাহলে এই বিষয়টাকে মাথায় রেখেই নিতে হবে।

গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়

গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় কমিশন কেমন?

রিটেইলার আপনাকে বিভিন্ন শর্ত সাপের কমিশন দিয়ে থাকে। যেমন রিটেইলারের কাছ থেকে যখন আপনি ব্যালেন্স এড করবেন তখন সেই ব্যালেন্সের সাপেক্ষে আপনাকে বোনাস বা কমিশন দেয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ এর সাথে বোনাস বা কমিশন থাকে। 

আপনি যখন কাস্টমারকে সেই প্যাকেজটি পাওয়ার লোড করবেন তখন সাথে সাথে আপনি সেই কমিশনটি পেয়ে যাবেন। গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড আপনাকে মোটামুটি খুব ভালো মানের এই কমিশন দিয়ে থাকবে। 

প্রতি 1000 টাকা আপনি কাস্টমারদের নাম্বারে ফ্লেক্সিলোড করলে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ আপনাকে 28 টাকা প্রদান করবে। অর্থাৎ 2.8 শতাংশ হারে কমিশন পাওয়া যায়। ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা সময়ভেদে এই কমিশন হার কিছুটা কম বেশি হতে পারে আপনি যখন ফ্লেক্সিলোডের সিম নিবেন তখন ডিলার এর কাছ থেকে এই বিষয়টা আরো পরিষ্কার জেনে নেবেন। 

শেষ কথা 

যদিও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই যুগে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার গুরুত্ব অনেকটাই রাস পেয়েছে তবুও এর গুরুত্ব একেবারে শেষ হয়ে যায়নি।  যারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থেকে এখনো বঞ্চিত এবং সবসময় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ফ্লেক্সিলোড করার মতো টাকা থাকে না তাদের কাছে এখনো সাধারণ ফ্লেক্সিলোড অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

তাই বলা যায় আমাদের ক্যারিয়ার গঠন করতে এবং ব্যবসা উন্নতির জন্য আমরা গ্রামীণফোনের ফ্লেক্সিলোড সিমটি ব্যবহার করতে পারি। এতে করে খুব সহজে আমরা আমাদের ব্যবসাকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে পারি। যেহেতু এই কাজ করা অত্যন্ত সহজ তাই যেকোনো বয়সের মানুষের দ্বারাই এই ব্যবসা করা সম্ভব। এবং যে কেউ চাইলেই এই ব্যবসা করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন।

Leave a Comment